• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

ইবি ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদের লড়াইয়ে এগিয়ে কারা! 

প্রকাশ:  ১০ মে ২০২২, ১৯:৪০
ইবি প্রতিনিধি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন? এ নিয়ে শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয় ও ত্যাগী নাকি হঠাৎ রাজনীতিতে আসা কারও হাতে উঠবে শীর্ষ দুই পদ, এই নিয়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে চলছে আলোচনা।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সূত্রে, শিগগিরই এই ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হবে। কমিটিতে অবশ্যই মেধাবী, যোগ্য ও সৎ দুজনকে নেতৃত্বে আনা হবে। জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই রবিউল ইসলাম পলাশকে সভাপতি ও রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এক বছর মেয়াদি কমিটি হলেও ২ বছর ২৩ দিন পর গত বছরের ৮ ডিসেম্বর কমিটি বিলুপ্ত করে কেন্দ্রীয় কমিটি। কমিটি বিলুপ্তির পর গত ১৩ ডিসেম্বর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের সিভি সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় কমিটির তিনজন সদস্য। এতে দুই পদের জন্য ৫৭ জন নেতা-কর্মী সিভি জমা দেন।

আরো জানা যায়, ইবি শাখা ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই পদে আসার লড়াইয়ে এগিয়ে আছে কয়েকজন নেতা। নতুন কমিটিতে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে কেন্দ্রে তদবির শুরু করেছেন তারা। কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদক থেকে শুরু করে সাবেক নেতা, প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা ও মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের কাছেও ধরনা দিচ্ছেন পদপ্রত্যাশীরা। পদপ্রত্যাশী উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতি বিভাগের মিজানুর রহমান লালন, ফাহিমুর রহমান সেতু ও নাসিম আহমেদ জয়, আইন বিভাগের ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত ও ইংরেজি বিভাগের তন্ময় শাহা টনি। তবে সৎ, যোগ্য, মেধাবী, শিক্ষার্থীবান্ধব নেতৃত্ব চাচ্ছেন এই ইউনিটের কর্মীরা।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ কর্মী সালমান রহমান বলেন, ইবি শাখা ছাত্রলীগের বিগত কয়েকটি কমিটি পূর্ণাঙ্গ না হওয়ায় এবং বর্তমানে দীর্ঘদিন কমিটি বিহীন থাকায় নেতাকর্মীদের মধ্যে একধরনের অসন্তোষ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের কাছে ইবি'র নতুন কমিটিতে সৎ, যোগ্য ও মেধাবী নেতৃত্ব চাই আমরা। যারা সংগঠনে প্রগতিশীলতার চর্চা অব্যাহত রাখবে একই সাথে আদর্শিক কর্মীদের যথাযথ মূল্যায়নের মাধ্যমে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীবান্ধব এবং জন কল্যাণমুখী কাজ করবে।

নিশাত সরকার বাঁধন নামের আরেক কর্মী বলেন, শিক্ষার্থীবান্ধব, দক্ষ ও সৎ কাউকে আমরা নেতা হিসেবে চাই

পদপ্রত্যাশী শেখ মিজানুর রহমান লালন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের শক্তিশালী এই ইউনিট নেতৃত্ব শূন্যতায় ভুগছে। ফলে নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। এই দিকগুলো বিবেচনা করে কেন্দ্রীয় কমিটি দ্রুত নতুন নেতৃত্ব দেবে বলে আশা করি। যার মধ্য দিয়ে ছাত্রলীগের এই ইউনিট আরও গতিশীল হবে।

এ বিষয়ে পদপ্রত্যাশী নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে চলা একটি গতিশীল ছাত্র সংগঠন। নিয়মিত বিরতিতে নতুন কমিটি গঠনের মাধ্যমে সংগঠনের গতিশীলতা রক্ষা পায়। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ কমিটি না থাকায় সংগঠনের কার্য্যক্রম স্হবির হয়ে পড়েছে । তাই কেন্দ্রীয় সংসদের কাছে প্রতিটি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর প্রত্যাশা যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে কমিটি প্রদানের মাধ্যমে সংগঠন তার গতিশীলতা ফিরে পাক৷

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক শেখ স্বাধীন শাহেদ বলেন, আমরা তিনজন ইবি ক্যাম্পাসে গিয়ে পদপ্রত্যাশীদের সিভি সংগ্রহ করেছিলাম। মোট ৫৭টি সিভি জমা পড়ে। এগুলো যাচাইবাছাই করে আমরা কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের দপ্তর সেলে জমা দিয়েছি। পরবর্তী বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় কমিটি দেখভাল করছেন। ইমানুল সোহান ইসলমাী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

পূর্বপশ্চিমবিডি/ইএস/এনজে

ইবি ছাত্রলীগ,শীর্ষ পদ,লড়াই
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close